-
বাংলাদেশের সামনে এবার আন্ডারডগ পাকিস্তান
September 5th, 2018সুজা উদ্দিন
বিডিস্পোর্টস২৪ ডটকম
ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর: ভুটানের বিপক্ষে জয় দিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করা বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এবার আন্ডারডগ পাকিস্তান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবে দুই দল। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে যে দল জিতবে, সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।
সাফ চাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ২০০৩ সালে একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঘরের মাঠে। ২০০৫ সালে পরের আসরে সেমিফাইনাল খেলেছিল। পরের তিন আসরে গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি। দেড় দশক পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল রাজত্ব উদ্ধারে দৃঢ়প্রত্যয়ী লাল-সবুজ ফুটবলাররা। ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলে প্রতিশোধের জয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছে বাংলাদেশ; সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই আরেকটা জয়।
২০১৩ কাঠমান্ডু সাফে পাকিস্তানের কাছে ১-২ গোলে হেরেছিল মামুনুল, নাসির চৌধুরী, জামাল ভুইয়া, ওয়ালী ফয়সালরা। পাঁচ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে চান তারা। ঘরের মাঠে বাড়তি সুবিধা পেলেও প্রতিপক্ষকে সমীহের চোখে দেখছেন স্বাগতিকদের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে, ‘তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরলেও পাকিস্তান শক্তিশালী দল। ইউরোপে খেলা একাধিক ফুটবলার আছে, তিনজন খেলে ডেনমার্কে। ইংলিশ লিগ খেলা জেস রহমান আছেন। এখানে ওদের অভিজ্ঞতা, স্কিল কাজে লাগবে। আমাদের দলে অভিজ্ঞ ফুটবলার কম।’ র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ১৯৪, প্রতিপক্ষ ২০১। কিন্তু র্যাংকিং দিয়ে প্রতিপক্ষের মানদণ্ড করতে চান না জেমি ‘র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও জাকার্তা এশিয়াডে কাতারকে হারিয়েছি। আসলে মাঠের খেলাটা মুখ্য।’
প্রথম ম্যাচ জেতায় দু’দলের পয়েন্ট সমান ৩; গোলগড়ে উপরে বাংলাদেশ। এ ম্যাচ জিতে শেষ চার নিশ্চিত করতে চায় দুই দলই। বুধবার দুপুরে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে অনুশীলন শুরুর আগে ব্রাজিলিয়ান কোচ হোসে অ্যান্তনিও নুগেইরা জানান, ‘ম্যাচটা দু’দলের জন্যই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার, ‘ঝুঁকি নিতে চাই না, ৩ পয়েন্ট চাই, জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামব।’ স্বাগতিক বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখলেন ব্রাজিলিয়ান কোচ, ‘ঘরের মাঠ, ঘরের দর্শক এটা বাড়তি সুবিধা দলটির জন্য। তবে নেপালকে হারানোর পর আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শেষ মুহূর্তে পাওয়া গোলে দল উজ্জীবিত।’ ম্যাচের কৌশল নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ কোচ, নেপাল ম্যাচে হওয়া ভুল সংশোধনে কাল অনুশীলনে নিয়ে কাজ করেছেন কোচ।
পাকিস্তানি ফুটবলাররা শারীরিক গড়ন, সক্ষমতা ও স্কিলে এগিয়ে। নেপাল ম্যাচে লম্বা ডিফেন্ডাররা পেছনে থেকে রক্ষণ কাজ করেছেন। ফলে প্রতিপক্ষের ক্রসগুলো বক্সের ভেতর থেকে সহজেই বের করে দিয়েছেন। নেপালিদের মতোই শারীরিক গড়ন বাংলাদেশি ফুটবলারদের। লাল-সবুজ কোচ জেমির ভরসা তারুণ্যের গতি। দুর্গ ভাঙতে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে টেনে উপরে তুলে আনতে হবে, এরপর যদি কিছু করা যায়।
প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী জেমি, ‘ঘরের মাঠে খেলা, প্রথম ম্যাচ জেতায় দলের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। সমর্থকরা মাঠে এসে উজ্জীবিত করলে আরও ভালো খেলার অনুপ্রেরণা পাবে ছেলেরা। পাকিস্তান শক্তিশালী হলেও হারানোর সামর্থ্য আমাদের আছে।’
লাল-সবুজ ফুটবলারদের অনুপ্রেরণা হতে পারে ঢাকায় পাকিস্তানের কাছে কোনো ম্যাচ হারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ শেষ জিতেছে ২০১১ বিশ্বকাপ প্রাক বাছাইয়ে ঢাকায় ৩-০ গোলে। দুই দলের ১৭ বারের দেখায় ৭টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। ৫টিতে ড্র ও ৫টিতে হার। সর্বশেষ জয় পাকিস্তানের, ২০১৩ কাঠমান্ডু সাফে ২-১এ।
বিডিস্পোর্টস২৪ ডটকম/এমএকে