-
৬ মাস ধরে অবসরের কথা চিন্তা করছেন কুক
September 6th, 2018ক্রীড়া ডেস্ক
বিডিস্পোর্টস২৪ ডটকম
লন্ডন, ৬ সেপ্টেম্বর: গত ৬ মাস ধরেই ইংল্যান্ড জাতীয় দল থেকে অবসরের কথা চিন্তা করছেন অ্যালিস্টার কুক। অবশেষে ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজেই তিনি নিজের পরিকল্পনার ঘোষণা দিলেন।
ওভালে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া পঞ্চম ও শেষ টেস্টই হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে কুকের শেষ টেস্ট। ৩৩ বছর বয়সী কুক বছরের প্রায় বেশিরভাগ সময় জুড়েই এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেছেন বলে জানা গেছে। শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে সাউদাম্পটনে চতুর্থ টেস্টের পরে তিনি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষের ঘোষণা দেন। বুধবার ওভালে সাংবাদিকদের সামনে ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছেন, ‘অনেক সময় অনেক কিছু ভাষায় প্রকাশ করাটা কঠিন। কিন্তু গত ছয় মাস ধরেই আমার মাথায় বিষয়টি ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমি সবসময়ই মানসিকভাবে শক্ত থাকার চেষ্টা করি। সেটাই এবারও করেছি, এভাবেই আমি সবকিছু সম্পন্ন করে থাকি।’
সাউদাম্পটন টেস্টের আগে অধিনায়ক জো রুট ও প্রধান কোচ ট্রেবল বেলিসকে অবসরের সিদ্ধান্তটি জানিয়েছিলেন কুক। তবে দলের অন্যান্যরা টেস্ট শেষ হবার পরেই বিষয়টি জানতে পারেন। কুক বলেন, বিষয়টি জানানোর সময় আমি নিজেকে বেশ সংযত রাখার চেস্টা করেছি। জানিনা কতটুকু পেরেছি। ম্যাচের শেষে সবাইকে জানানোর পর এটা কারো কারো জন্য সুসংবাদ হতে পারে, আবার কারো জন্য দু:সংবাদ। ঐ সময় পুরো পরিবেশ একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। মঈন আলি কি যেন একটা বলে ওঠায় সবাই হাসতে থাকে, পরবর্তীতে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়।
টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ ১২,২৫৪ রান সংগ্রহ করেছেন কাউন্টি দল এসেক্সের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ৩৩ বছর বয়সী কুক। ৩২ সেঞ্চুরিসহ তার গড় রান ৪৪.৮৮। এছাড়া দলের হয়ে এক নাগারে ১৫৮ টেস্ট খেলার বিশ্ব রেকর্ডটিও রয়েছে তার দখলে। তবে ক্যারিয়ারে মোট ১৬০ টেস্ট খেলা সাবেক এ অধিনায়ক সম্প্রতি ভালো ফর্মে ছিলেন না। চলতি বছর নয় টেস্টে তার গড় রান ১৮ দশমিক ৯২। সার্বিক ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট কুক বলেছেন, ‘আমি যখন পেছনে তাকাই তখন আমার কাছে মনে হয় আমি সেরা হয়েই বিদায় নিচ্ছি। এটা আমার কাছে অনেক অর্থ বহন করে। আমি কখনই খুব বেশি প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিলাম না। কিন্তু আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি আমার যা ক্ষমতা ছিল তার পুরোটাই আমি দিতে চেষ্টা করেছি।’
ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী কুকের প্রতি উদার সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ‘২০০৬ সালে নাগপুরে আমি তার প্রথম টেস্ট ম্যাচটি দেখেছি যেখানে সে সেঞ্চুরি করেছিল। নি:সন্দেহে সে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। মানসিকভাবে সে সবসময়ই দৃঢ় অবস্থানে থেকে ক্রিকেট খেলেছে। হয়তবা যাবার সময় সে সেরা ফর্মে ছিলনা। কিন্তু একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে সে যথেষ্ট দিয়ে গেছে। এই ধরনের কন্ডিশনে দীর্ঘ সময় ধরে খেলা ধরে রাখা একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যানের জন্য দারুন চ্যালেঞ্জিং। আমি মনে করি সে অসাধারণ খেলেছে, তার জন্য আমার শুভকামনা থাকলো।’ বাসস।
বিডিস্পোর্টস২৪ ডটকম/এমএকে